ওয়ারিশ সনদের আবেদন
সেবাটি গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করুন
ট্রেড লাইসেন্স সনদের আবেদন
সেবাটি গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করুন
পারিবারিক সনদের আবেদন
সেবাটি গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করুন
অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি পত্র
সেবাটি গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করুন
জীবিত ব্যক্তির ওয়ারিশ সনদের আবেদন
সেবাটি গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করুন
রিনিউ ট্রেড লাইসেন্স
সেবাটি গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করুন
বসতবাড়ি হোল্ডিং নিবন্ধন সনদ
সেবাটি গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করুন

নোটিশ

আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ সম্পর্কে জানুন

ইউনিয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ



ডুমুরিয়ার নামকরণ সম্পর্কে সঠিক কোন বক্তব্য ইতিহাসে পাওয়া যায় না তবে। ধারণা করা হয় অতীতে বঙ্গদেশের এ অঞ্চলটিতে বৌদ্ধ সহজিয়া ডোম সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল। ডোম হল হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা মড়া পোড়ানোর কাজ করে। এই ডোম শব্দটি কালের বিবর্তনে পরিবর্তিত হয়ে ডুমুরিয়া হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। ইতিহাসবিদগণের কাছে এটাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতবাদ। শেখ আব্দুল জলিলের লেখা “ডুমুরিয়ার ইতিহাস” বইটিতেও এমনি বর্ণনা দেওয়া আছে। ঐ একই বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা যায় ডোমদের একটি প্রিয় বাদ্যযন্ত্র ছিল ‘ডমরু’। এটি এক হাতে বাজাতে হোত। এই ডমরু থেকে ডুমুরিয়া নামটি আসতে পারে। এখনও অনেকে ডুমুরিয়াকে ডুমরে উচ্চরণ করে বলে এই ধারণাটির যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এছাড়া সমুদ্র উপকূলবর্তী সুন্দরবনের এ অঞ্চলটি প্রথমে ‘ডুবা’ বা জলাভূমি ছিল। ইছামতি থেকে বলেশ্বর পর্যন্ত বিস্তৃত খুলনার অধিকাংশ বৃদ্ধ দ্বীপ বা বুড়ান। সাতক্ষীরা, কুমিরা, তালা, শোভনা ও সেনহাটি বৃদ্ধ দ্বীপের কয়েকটি পুরাতন অংশ। এই শোভনাই ডুমুরিয়ার একটি প্রাচীন জনপদ। কাজেই বলা যায়, নদী ভদ্রার তীরবরতী এই বুড়ান বা ডুবা অঞ্চল থেকে ক্রমান্বয়ে বিরাট জনবসতির উপযোগী এ ভূখন্ডের উদ্ভব হওয়ায় এর নাম ডুমুরিয়া হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কালেরস্বাক্ষী বহনকারী ভদ্রা নদীর তীরে গড়ে উঠা ডুমুরিয়া উপজেলার একটিঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন ।কাল পরিক্রমায় আজ ডুমুরিয়া ইউনিয়নশিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারনিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল।

১১নং ডুমুরিয় ইউনিয়নের নাম করণ

নিম্নে ধারাবাহিকভাবে ইউনিয়ন পঞ্চায়েত, প্রেসিডেন্ট এবং চেয়াম্যানদের নামের তালিকা দেওয়া হলো।

অক্ষয় ভট্টচার্যঃগ্রাম-সাজিয়াড়া, ডুমুরিয়া, খুলনা।

প্রথম পঞ্চায়েত। সাজিয়াড়া জমিদার পরিবারেরা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।

অরবিন্দু ভট্টাচর্যঃগ্রাম-সাজিয়াড়া, ডুমুরিয়া, খুলনা। ২য় পঞ্চায়েত।

সুরুজ্জামানঃ৩য় পঞ্চায়েত।

ঋষু খানঃগ্রাম-ডুমুরিয়া, খুলনা।

যশোর আলী (মাস্টার)ঃগ্রাম-সাজিয়াড়া, ডুমুরিয়া, খুলনা। তিনি ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন সহকরী প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

নেছার উদ্দিনঃআরাজি সাজিয়াড়া, ডুমুরিয়া, খুলনা।

(ডুমুরিয়া চারআনি বাজার নাগরদোলায় চাদর জড়িয়ে তার মৃত্যু হয়)

হামিদার রহমান গোলদারঃগ্রাম-ডুমুরিয়া, খুলনা।

চেয়ারম্যান প্রথায় প্রথম চেয়ারম্যান। তিনি একাধিকবার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি অত্যন্ত ব্যক্তিত্ববান ও রাশভারি ব্যক্তি ছিলেন।

কামাল শেখঃগ্রাম-সাজিয়াড়া, ডুমুরিয়া, খুলনা। তিনি ১৯৭০ সালে আততায়ীর গুলিতে অত্যন্ত নির্মমভাবে নিহত হন।

শেখ আব্দুল মজিদঃগ্রাম-খলশী, ডুমুরিয়া, খুলনা।

তিনি রানৈতিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ছিলেন। পর পর দু্ই টার্মে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রথমত কৃষক নেতা এবং নকশাল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতেন।

মোল্যা আবুল কাশেমঃগ্রাম-ডুমুরিয়া, খুলনা।

শেখ কবিরুল ইসলামঃগ্রাম-সাজিয়াড়া, ডুমুরিয়া, খুলনা। নিহত চেয়ারম্যান কামাল শেখের পুত্র। তিনিও নির্মমভাবে নিহত হন।

শেখ রবিউল ইসলামঃগ্রাম-সাজিয়াড়া, ডুমুরিয়া, খুলনা। নিহত চেয়ারম্যান কামাল শেখের পুত্র।

মোল্যা মফিজুল ইসলামঃগ্রাম-ডুমুরিয়া, খুলনা।

নির্বাচন ২২ শে ফেব্রুয়রী ২০০৩। প্রক্তন চেয়ারম্যান মোল্যা আবুল কাশেমের ভ্রাতা। ডুমুরিয়া থানা বি,এন,পির  নেতা।

 

ইউনিয়ন পঞ্চায়েত, প্রেসিডেন্ট, চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ সমূহঃ বৃটিশ আমলের প্রথমার্ধে জেলার প্রশাসনিক কার্যাবলীর সুবিধার্থে চৌকি পর্যায়ের নিম্নস্তরে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রথা চালু ছিল। তখন থানা পর্যায়ের প্রশাসক ব্যবস্থাকে চৌকি বলা হতো। চৌকির কার্যাবলীর সুবিধার্থে কতিপয় গ্রাম পঞ্চায়েত থাকতো। ডুমরিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতদের নাম স্মৃতির অন্তরালে তলিয়ে গেছে। তা আজ উদ্ধার করা সম্ভব নয়, কেননা সেরূপ গবেষণার উপাত্ত দুষ্প্রাপ্য।

প্রথমত:১২ টি ইউনিয়ন নিয়ে ডুমুরিয়া থানা কার্যক্রম শুরু করে। তখন ১৩ নং গুটুদিয়া ইউনিয়ন ছিল রংপুর ইউনিয়নের অর্ন্তভূক্ত এবং ১৪ নং মাগুরখালী ইউনিয়ন ছিল শরাফপুর ইউনিয়নের অর্ন্তভূক্ত। ইউনিয়ন সমূহের নামকরণের ক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষনীয় যে, প্রাথমিক পর্যায়ে ইউনিয়ন পঞ্চায়েত যে গ্রাম থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই গ্রামের নামানুসারে সেই ইউনিয়নের নামকরণ হয়েছে।

আমাদের লোকেশন

আমাদের পার্টনার
পেমেন্ট মাধ্যম